,

গোপালগঞ্জে অস্তিত্বহীন সমিতির নামে খাল বন্দোবস্ত নেয়ার পাঁয়তারা

গোপালগঞ্জের পাঁচুড়িয়া খাল

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জে ভূয়া কাগজপত্র দাখিল করে অস্তিত্বহীন সমিতির নামে গোপালগঞ্জের পাঁচুড়িয়া খাল বন্দোবস্ত নেয়ার জন্য পাঁয়তারা করছে একটি চক্র।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসকের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।

অভিযোগে জানা গেছে, গত ১৪২৪ বাংলা সালের ৩০ চৈত্র গোপালগঞ্জ শহরের মধ্যদিয়ে প্রবাহিত পাঁচুড়িয়া খালের পূর্বের ইজারা শেষ হয়। নতুন করে বন্দোবস্ত নেয়ার জন্য সরকারি জলমহাল নীতি ২০০৯ অনুযায়ী ওই বছরের বাংলা সালের ৩০ কার্তিকের মধ্যে পে-অর্ডারসহ আগ্রহী মৎসজীবি সমিতিকে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবরে আবেদন করার কথা।

কিন্তু ওই সময়ের মধ্যে প্রকৃত কোন মৎসজীবি সমিতি নামে পাঁচুড়িয়া খাল বন্দোবস্ত নেয়ার জন্য আবেদন করা হয়নি। কিন্তু আবেদনের নির্দিষ্ট সময়সীমা শেষ হওয়ার পর অন্তত ছয় মাস সময় অতিবাহিত হওয়ার পর ব্যাংকপাড়া মৎস্যজীবি সমিতি লি. নামে একটি সমিতি পাঁচুড়িয়া খালটিকে বন্দোবস্ত নেয়ার জন্য আবেদন করে।

জলমহাল বন্দোবস্তর শর্তানুযায়ি, সমিতি রেজিষ্ট্রেশান কর্র্তৃপক্ষের প্রত্যায়নপত্র, গঠনতন্ত্র, নির্বাচিত সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের নাম ও ঠিকানা, সভার কার্য বিবরণী, নিবন্ধিত সদস্যদের নামের তালিকা, নির্বাচিত নির্বাহী ও কার্যকরি কমিটির তালিকা, আবেদনকারি সমিতির প্রত্যেক সদস্য প্রকৃত মৎসজীবি কিনা এই মর্মে উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রত্যায়নপত্র, ব্যাংক সলভেন্সী সার্টিফিকেট ও বিগত দুই বছরের অডিট রিপোর্ট থাকলেই কেবল মাত্র ওই সব সমিতি আবেদনের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবে।

সংশ্লিষ্ট অফিসে যোগাযোগ করে জানা যায়, নারায়ণ চন্দ্র দাস, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির আহবায়ক হিসেবে ২০১০ সালের ১৯ আগস্ট পর্যন্ত সর্বশেষ দায়িত্বে ছিলেন অথচ ব্যাংকপাড়া মৎসজীবি সমিতির পক্ষে ২০১৭ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর ওই কর্মকর্তার স্বাক্ষরিত প্রত্যায়নপত্র দেয়া হয়।

এছাড়া অগ্রণী ব্যাংক, গোপালগঞ্জ পৌর সুপার মার্কেট শাখা থেকে সঞ্চয়ী হিসাব নং-৫১৭০ এর অনুকূলে স্বাক্ষর ও তারিখ টেম্পারিং করে প্রত্যয়নপত্র দাখিল করা হয়।

অপরদিকে, সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে নোটিশ করে তাদের সন্ধান না পেয়ে এবং সমিতির নীট লাভের উপর ধার্যকৃত নিরীক্ষা ফি, ভ্যাট, সমবায় উন্নয়ন উন্নয়ন তহবিল পরিশোধ না করা নিরীক্ষক উপজেলা সমবায় অফিসের সহকারী পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম ব্যাংকপাড়া মৎসজীবী সমবায় সমিতি লিঃ এর নিবন্ধন বাতিলের সুপারিশ করেন।
খাল এলাকার বাসিন্দা আজাদ মিয়া বলেন, ‘পাঁচুড়িয়া খালটি বন্দোবস্ত দেয়ার কারনে খালের দক্ষিণ দিকে মান্দারতলা এলাকায় বানা দিয়ে মাছ চাষ করা হয়। ফলে জোয়ার-ভাটার পানি প্রবেশ করতে না পারায় খালের পানি পঁচে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়। প্রশাসনের কাছে দাবি জনস্বার্থে খালটি উম্মুক্ত করে দেয়া হোক।’

এই বিভাগের আরও খবর